স্ত্রীকে ঘরে রেখে মাদরাসা ছাত্রীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করা ও অনৈতিক কর্মকণ্ডের অভিযোগে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলামের রিরুদ্ধে। এ অভিযোগে তাকে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বাল্যবিয়ের ঘটনায় তাকে মাদরাসা থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন তারা।
শনিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার গড়েরডাঙ্গা এলাকায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী অবিভাবকসহ শতাধিক গ্রামাবাসী এ মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার কম্পিউটার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম (৪০) গত ২১ নভেম্বর একই মাদরাসার দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। শিক্ষকের এ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে এলাকার সচেতন মহল বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। একপর্যায় পরিচালনা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদরাসা কতৃপক্ষ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এদিকে ওই শিক্ষকের স্ত্রী তামান্না বেগম স্বামীর এ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে স্থানীয় মাদবরদের কাছে অভিযোগ দেন।
বক্তারা জানান, খায়রুল ইসলাম গত ১০ বছর আগে গড়েরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওহাব মোড়লের মেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি তামান্না খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তামান্নার বাবা ওহাব মোড়ল মেয়ের সুখের জন্য জামাই মাদ্রাসা শিক্ষক খায়রুল ইমলামকে বিভিন্ন সময়ে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার যৌতুক দিয়ে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করে। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীর গর্ভের সন্তান আসলে দুই দফায় স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে সেই সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য করে ওই শিক্ষক খায়রুল ইসলাম। এদিকে ঘরে স্ত্রী থাকার পরও মাদরাসা ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্ত্রীসহ গ্রামের লোকজন বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এদিকে যৌতুকের দাবি করার অভিযোগে খায়রুল ইসলামে বিরুদ্ধে গত ২৫ নভেম্বর সাতক্ষীরা পারিবারিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন স্ত্রী তামান্নার ভাই আজহারুল ইসলাম।
বক্তারা জানান, সম্প্রতি স্ত্রীকে ঘরে রেখে ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষকের পালিয়ে বিয়ের ঘটনার বিচার ও তাকে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই মাদরাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম ঘটনার পর থেকে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে নিয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। সে ধানদিয়া ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের মৃত মোসলেম সানার ছেলে।
সৌজন্যঃ দৈনিক শিক্ষা
Leave a Reply