পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার কে এস লতীফ ইনস্টিটিউশনের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে স্কুলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের অভিযোগ, সহকারী প্রধান শিক্ষক স্কুলের মালিকানাধীন দোকান ভাড়ার টাকা, শিক্ষক পরিষদের টাকা এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিলের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একইসাথে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষের দরজায় কাঠের তক্তা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিতভাবে এসব অভিযোগ করেন।
প্রধান শিক্ষকের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষক পদে মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক তাকে মেনে নিতে পারেননি। মোস্তাফিজুর রহমান যোগদানের কয়েক মাসের মধ্যেই ষড়যন্ত্র করে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির কাছে মনগড়া ও কাল্পনিক অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিষয়টি সমাধান করে দেন। পরবর্তীতে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি ও প্রধান শিক্ষক হতে তাকে স্কুল থেকে অপসারণের জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি শুরু করেন।
প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে শিক্ষক পরিষদের ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তন ও ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষক-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিলের টাকা ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে বিধি বহির্ভূতভাবে উত্তোলন, বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন প্রায় ছয়শত স্টলের ভাড়ার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেজে সরকারি বেতন-ভাতার বিল উত্তোলনের অপচেষ্টাসহ ১৫টি অভিযোগ আনেন।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। টাকা রশিদের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। টাকা আত্মসাত করা আমার একার পক্ষে করার সুযোগ নেই।
This issue should be justified urgently.